মঙ্গলবার, ০১ Jul ২০২৫, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

সিলেট টেস্ট: বাংলাদেশকে জিততে হলে গড়তে হলে নতুন ইতিহাস

খেলাধুলা ডেস্ক:

টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটি ৪১৮ রানের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গড়া সেই রেকর্ডটি এখনো ভাঙতে পারেনি অন্য কোনো দল। সিলেটে চলমান টেস্টে বাংলাদেশের সামনে ৫১১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে শ্রীলংকা। তাই জিততে হলে নাজমুল হোসেন শান্তদের গড়তে হবে নতুন ইতিহাস।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে লংকান ব্যাটারদের সামনে পাত্তাই পায়নি বাংলাদেশের বোলাররা। আরও স্পষ্টভাবে বললে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের কাছে। প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকার ২৮০ রানের বিপরীতে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল মাত্র ১৮৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ধনাঞ্জয়া ও মেন্ডিসের সেঞ্চুরিতে শ্রীলংকার ইনিংস থামে ৪১৮ রানে। তাতে ৫১১ রানের লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ১১৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে শ্রীলংকা। দিনের শুরুতে বাংলাদেশকে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। খালেদ আহমেদের বলে বলে ফার্নান্ডো খোঁচা দিলে স্লিপে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ দারুণ এক ক্যাচ নেন। এরপরই শুরু হয় ধনাঞ্জয়া ও কামিন্দুর শাসন। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও হতাশ করেন বাংলাদেশকে। সপ্তম উইকেট জুটিতে এই দুজন করেন ২৭৩ বলে ১৭৩ রান। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও সেঞ্চুরি তুলে নেন লংকান দলনেতা ধনাঞ্জয়া। প্রথম শ্রীলংকান অধিনায়ক হিসেবে টেস্টের দুই ইনিংসেই করেন সেঞ্চুরি। পরে সেঞ্চুরি আসে কামিন্দুর ব্যাটেও। যেটিকে তিনি নিয়ে যান দেড়শ রানের ওপরে। শেষ পর্যন্ত ১৬টি চার ও ৬ ছক্কায় ১৬৪ রান করে দশম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি।

এদিন দুর্দান্ত এক রেকর্ডও গড়েন ধনাঞ্জয়া-কামিন্দু। টেস্টে তৃতীয়বারের মতো একই দলের দুই ব্যাটার দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির দেখা পেলেন। এর আগে, ১৯৭৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ভাই ইয়ান চ্যাপেল ও গ্রেগ চ্যাপেল। এর পরে ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই কীর্তি গড়েন পাকিস্তানের দুই ব্যাটার আজহার আলী ও মিসবাহ-উল হক।

মেহেদী হাসান মিরাজ ছাড়া বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপের সবাই এদিন ছিলেন ব্যর্থ। আগের দিন ৩ উইকেট শিকার করে আশা জাগানো নাহিদ রান ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ছয়ের ওপরে। ২৯ ওভারে ৭৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন মিরাজ।

ভয়েস/জেইউ।

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION